বুধবার ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শবে বরাতের ফজিলত

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ১৮ মার্চ ২০২২ | প্রিন্ট

শবে বরাতের ফজিলত

শবে বরাত

শবে বরাত অর্থ—মুক্তির রজনী। ‘শবেবরাত’ একটি পরিভাষা। হাদিসে এটিকে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ অর্থাৎ শাবানের মধ্যরাত বলা হয়েছে।


এই রাত নিঃসন্দেহে ফজিলতপূর্ণ। এ নিয়ে যেমন বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়, তেমনিভাবে এই রাতের ফজিলতও অনস্বীকার্য। কেউ এটিকে অস্বীকার করলে রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদিসকে অস্বীকার করা হবে। কেননা আলি ইবনে আবু তালিব রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যখন মধ্য শাবানের রাত আসে, তখন তোমরা এ রাতে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ো এবং দিনে রোজা রাখো। কেননা এদিন সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর নিকটতম আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন, কে আছো আমার নিকট ক্ষমাপ্রার্থী? আমি তাকে ক্ষমা করবো। কে আছো রিজিকপ্রার্থী? আমি তাকে রিজিক দেব। কে আছো রোগমুক্তি চাও? আমি তাকে সুস্থতা দেব। কে আছো এই এই চাও?’ এভাবে ফজরের সময় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। (সুনানে ইবনে মাজাহ, ১৬২)

এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে আরও এক হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘শাবানের মধ্যরাতে আল্লাহ তায়ালা তাঁর সৃষ্টির প্রতি (রহমতের) দৃষ্টি দেন। মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত সকল বান্দাদের ক্ষমা করেন।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৬৬৪৬)


সুতরাং এ রাতে আল্লাহ তাআলার কাছে নিজের গোনাহসমূহের ক্ষমা চেয়ে, তাওবা করে গোনাহ মুক্ত হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। এ রাতে বেশি বেশি নফল ইবাদত, কুরআন তেলাওয়াত, কাজা নামাজসমূহ আদায়সহ অন্যান্য জিকির-আজকার করা যেতে পারে। আল্লাহর বিশেষ এ নিয়ামত যেন আমাদের থেকে এমনি এমনি হাতছাড়া না হয়ে যায়।

শবে বরাতে যেসব কাজ করবেন না


শবে বরাতে নফল আমলের জন্য দলে দলে মসজিদে এসে সমবেত হওয়া। এই ধরনের কোনো আমলের প্রমাণ হাদিস শরিফে নেই। আর সাহাবায়ে কেরামের যুগেও এর রেওয়াজ ছিল না। তবে কোনো প্রকার ঘোষণা বা আহ্বান ছাড়া মানুষজন যদি মসজিদে একত্র হয়ে যায়, তাহলে তারা একাকী ইবাদত করতে পারে। এতে কোনো সমস্য নেই।

লক্ষণীয় যে, এক শ্রেণির যুবক আছে— তারা এ রাতে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে রাস্তায় সময় কাটায়, উচ্চ স্বরে জিকির করে; অথচ ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে এগুলো সম্পূর্ণ বর্জনীয়। কারণ এতে কোনো রোগাক্রান্ত ব্যক্তির কষ্ট হতে পারে। আর অন্যকে কষ্ট দিয়ে নফল ইবাদত করার কোনো বিধান শরিয়তে নেই।

পটকা বাজানো, খিচুড়ি পাকিয়ে বণ্টন করা; মিষ্টি, হালুয়া ও শিরনি বিতরণ; মসজিদে একত্র হয়ে ইবাদত, জিকির, আতশবাজি, চেরাগপ্রথা ও কবরস্থানে মেলার মতো গমনাগমন ইত্যাদি সুস্পষ্ট বিদআত ও কুসংস্কার। (বিচারপতি মুফতি তাকি উসমানি, ইসলাহি খুতুবাত : ৪/৮৫)

আল্লাহ আমাদের শবে বরাতের ফজিলত হাসিল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Facebook Comments Box

বিষয় :

Posted ৮:৪৬ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৮ মার্চ ২০২২

শিক্ষার আলো ডট কম |

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
অফিস

চৌগাছা, যশোর-৭৪১০

হেল্প লাইনঃ 01644-037791

E-mail: shiksharalo.news@gmail.com